রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফোকলোর বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুরে জড়িত ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীকে আটকে রাখেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জোর করে তাঁদের নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রোববার ফোকলোর বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগের অধ্যাপক মোবাররা সিদ্দিকা হামলা-ভাঙচুরে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক মোস্তফা তারিকুল আহসান, অধ্যাপক আকতার হোসেন, অধ্যাপক রওশন জাহিদ, সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, সহযোগী অধ্যাপক অনুপম হীরা মণ্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একরাম উল্যাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজী ভবনের সামনে ফোকলোর বিভাগের অনুষ্ঠান চলাকালে পেছনের দর্শক সারিতে বসা সৌমিক রহমান ও আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। ধাওয়া দিলে পালানোর চেষ্টাকালে বিভাগের শিক্ষার্থীরা সৌমিক ও আতিককে ধরে বিভাগের অফিসে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই ছাত্রলীগ সভাপতি এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক সৌমিক এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আতিককে নিয়ে যান।

ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা দু'জনকে বিভাগে আনলে ভাঙচুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ছাত্রলীগ সভাপতি এসে তাদের জোর করে নিয়ে যায়।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অপদস্থ করা হয়। এর পরও শিক্ষকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসি। প্রক্টর দপ্তর চাইলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।