আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের। এর ফলে এই খাতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।

সচিব অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে জনগণকে উৎসাহিত করতে বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে পুরাতন নামজারির ডাটা এন্ট্রির বিষয়েও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে তাদের নির্দেশনা দেন।

সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্র থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। জেলাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকদের ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ জন্য প্রাইভেট এজেন্টশিপ নীতিমালা করা হচ্ছে। কলসেন্টার ১৬১২২ ছাড়াও এসব সেবা কেন্দ্রে নাগরিকরা সরাসরি গিয়ে ভূমিসেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া প্রাইভেট এজেন্ট কার্যক্রম মনিটরের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। উপজেলা ও জেলাভিত্তিক নাগরিক কমিটি করা হবে।

বিভাগীয় শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা ভূমিসেবা কিয়স্ক ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বরিশাল। কিয়স্ক বিভিন্ন জনবহুল এলাকা- যেমন স্টেশন, বিপণিবিতান, অফিস কমপ্লেপসহ নানা জায়গায় পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে। নাগরিকরা প্রয়োজনীয় ফির বিনিময়ে প্রয়োজনীয় আবেদন ও জমির খতিয়ান প্রিন্ট করতে পারবেন।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, আন্তঃজেলা ভূমি বিরোধ, ভূমি অফিস নির্মাণ, জনবল নিয়োগসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
গত ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত শুধু অনলাইনেই ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ম্যানুয়ালি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর কেবল অনলাইনেই দেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল বারিকসহ দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, ভূমি মন্ত্রণালয়ে ও সংশ্নিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।