শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।  সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ এন্ড সোসাল মেডিসিন (নিমসম) অডিটোরিয়াম 'জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।

সোমবার দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে। কর্মসূচির আওতায় ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ  শিশু রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আয়োজন শুরু হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে । তখন দেশে রাতকানা রোগীর সংখ্যা চার শতাংশের বেশি ছিল। অনেক ছেলে-মেয়েদের রাতকানা রোগী হিসেবে দেখা যেত। তখন অনেক শিশু পোলিওতে আক্রান্ত হত। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে রাতকানা রোগ নেই বললেই চলে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে উঠুক, দেশের সুনাগরিক হোক। সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সোনার মানুষ দরকার, সোনার শিশু দরকার। শিশুরা এদেশের ভবিষ্যৎ, তারাই দেশকে পরিচালিত করবে। শিশুদের খাদ্য পুষ্টি এবং ভিটামিন এ'য়ের অভাব হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে একটি হচ্ছে রাতকানা রোগ, দৈহিক এবং মানসিকভাবেও তারা বেড়ে উঠতে পারে না। তাদের লেখা পড়ায় মনোযোগ কম হয়।  ভিটামিন এর অভাবে ২৪ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। পুষ্টির অভাবে শিশুরা খর্বাকৃতির হয়। আমাদের দেশে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির ছিল, সেটা এখন অনেক কমে গেছে। ভিটামিন এর অভাবে শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। এতে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদেরকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া প্রমুখ।