বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে জলদস্যুদের হামলায় সাগরে নিখোঁজ চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আব্দুল হাই নামের এক জেলে হাসপাতালে মারা গেছেন। গত রোববার রাত ৮টার দিকে তাদের উদ্ধারের পর সোমবার বিকেলে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওই জেলের মৃত্যু হয়। 

আব্দুল হাই তালতলী উপজেলার চামুপাড়া গ্রামের আসমত আলীর ছেলে। উদ্ধার অপর তিন জেলে হলেন- ইয়াছিন জোমাদ্দার, শফিকুল ইসলাম ও জামাল হোসেন।

গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সোনারচর এলাকায় জলদস্যুরা 'এফবি ভাই ভাই' মাছ ধরার ট্রলারে হামলা করে। এতে ৯ জেলে নিখোঁজ হন।

'এফবি মা মরিয়ম' নামের পাথরঘাটার একটি ট্রলারের জেলেরা সাগরের বড় বয়া এলাকা থেকে ওই চারজনকে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা কোস্টগার্ডের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। পাথরঘাটা কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন কমান্ডার সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এখনও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা হলেন- কাইউম জোমাদ্দার, আবুল কালাম, খাইরুল ইসলাম, আবদুল আলীম ও ফরিদ। দস্যুরা ডাকাতির সময় তাঁদের সাগরে ফেলে দেয়।

ইয়াছিন জোমাদ্দার জানান, জলদস্যুরা মারধর করে ৯ জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। এরপর তাঁরা জালের ফ্লোট ধরে ভাসতে থাকেন। যাঁরা বেশি আহত ছিলেন, তাঁরা ফ্লোট ছেড়ে দিয়ে ভাসতে ভাসতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তাঁরা বেঁচে আছেন কিনা কেউ জানে না। রোববার রাতে জেলেরা সাগরে জাল ফেলছিলেন। তখন ভাসতে থাকা জেলেরা চিৎকার দিলে চারজনকে উদ্ধার করেন এফবি মা মরিয়ম ট্রলারের মালিক মাকসুদ মাঝি। পরে সাগরে র‌্যাব ও কোস্টগার্ডকে খবর দিলে তারা অসুস্থ জেলেদের পাথরঘাটায় নিয়ে আসে।

কোস্টগার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার অপারেশন লেফটেন্যান্ট হাসান মেহেদী জানান, দক্ষিণ জোনের চারটি স্টেশনের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার জেলেদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকাসহ প্রত্যেককে একটি করে কম্বল ও খাবার দেওয়া হয়েছে।