দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ১২টি পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ১২ বছরের বেশি সময় পড়ে থাকা এসব বিমানের মালিক বেসরকারি কয়েকটি এয়ারলাইন্স সংস্থা। তাদের কাছে এসব উড়োজাহাজের পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ ৮০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে।

এয়ারলাইন্সগুলো হচ্ছে ইউনাইটেড, রিজেন্ট, জিএমজি ও এভিয়ানা এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়াওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের একটি ও এভিয়ানা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, আগামী অক্টোবরে বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের একটি অংশ উদ্বোধন করা হবে। এ জন্য নির্মাণকাজ দ্রুত চালানোর চেষ্টা করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের আগেই এসব উড়োজাহাজ নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম সমকালকে জানান, বেবিচকের আইনের ধারা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের আগেই আদালতের মাধ্যমে এসব উড়োজাহাজ নিলামে বিক্রি করার প্রক্রিয়া চলছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব এয়ারলাইন্সের মধ্যে সর্বোচ্চ বকেয়া জিএমজির। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের। ২০১২ সালে জিএমজি এয়ারলাইন্স তাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করে। এরপর আর কখনও ওড়েনি এ সংস্থার বিমান।

রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের কাছে বকেয়া ২০০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় রিজেন্ট। কিন্তু তার আগেই বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল সংস্থাটি। এ ছাড়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে ১৯০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র বিমান কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়েছে ২০১৬ সালে।

বেবিচকের সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো সরানো হলে যে জায়গা ফাঁকা হবে, সেখানে অন্তত সাতটি বিমান পার্ক করা যাবে।