- বাংলাদেশ
- এনসিটিবির মাধ্যমে প্রাইমারির বই ছাপাতে চায় না মন্ত্রণালয়
এনসিটিবির মাধ্যমে প্রাইমারির বই ছাপাতে চায় না মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সচিব জানান, আগামী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইও এনসিটিবির মাধ্যমেই ছাপানো হবে। পরবর্তী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠাবে মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানো হবে।
তিনি বলেন, এ বছর সরকারের নির্বাচনী বছর। গত বছরের চেয়ে এবার আমরা আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছি। ইতোমধ্যেই এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে সভা করে সময়মাফিক কর্মপরিকল্পনা করে জারি করে দিয়েছি। এ বছর আমরা নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করব। এজন্য যা যা করা দরকার তা কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী করা হবে।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এনসিটিবির আইনে বলা হয়েছে, পাঠ্যবইয়ের পান্ডুলিপি প্রণয়ন ও মুদ্রণের কাজ এনসিটিবি করবে। আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছিলাম। সেখানে আমরা বিষয়টি (প্রাথমিকের বই ছাপানো) নিয়ে আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছি। সুবিধা-অসুবিধা, কোনটা হলে জনগণের বা নাগরিকদের ভালো হয়, কোনটা হলে শিক্ষার্থীদের ভালো হয়। সেভাবে আমরা পর্যালোচনা করেছি। পর্যালোচনা করে আমরা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবো।
তিনি জানান, এনসিটিবি আসলে কাজের চাপে ভারাক্রান্ত। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেন।
সচিব আরও বলেন, বই ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী, বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। অথচ এ কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। এ কাজটা আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারলে সরকারের অন্তত ২০-৩০ কোটি টাকা সাশ্রয়ও হবে। আমরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারব। এনসিটিবির ওপরও চাপ কমে আসবে।
সব তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে জানিয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা আগামী বছর কাজ করব। এ বছর কোনো জটিলতা নেই। যার যা দায়িত্ব, আমরা তা পালন করব। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেভাবে কাজ করব।
মন্তব্য করুন