২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনশীল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বৃহস্পতিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) অনুষ্ঠিত এক ছায়া সংসদে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবন মালিকের ক্যাপাসিটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রথম এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই। ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষকেই প্রধান দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের প্রস্তাবিত বিল্ডিং কোড ১৩ বছর পর পাস হয়েছে ২০২২ সালে। ইতোমধ্যে প্রযুক্তিগত আরো বেশ উৎকর্ষ ঘটেছে। কাজেই বর্তমান বিল্ডিং কোডও সময়পোযোগী নয়, এটিও আধুনিকীকরণ আবশ্যক। তবে ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনশীল করা সম্ভব হবে।

এনামুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরের ৭২ হাজার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং বড় কোনো ভূমিকম্পে রাজধানীতে ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমাদের ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক আছে, সচেতনতা নেই। নেই কোনো সরকারি সঠিক উদ্যোগ। ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে এমন শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ, অপ্রশস্ত সড়ক, সচেতনতার অভাব, পূর্ব প্রস্তুতির ঘাটতি ঢাকা শহরকে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলেছে।

'ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার অপেক্ষা ভবন মালিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ' শীর্ষক বিষয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মহম্মদ রইস, ড. দিলারা জাহিদ, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা ও সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান রাহী।