
দশমিনার চরঘূনী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে তার টানানো হলেও দু’বছরেও সংযোগ পাননি বাসিন্দারা - সমকাল
দুই বছর আগে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছে। টানানো হয়েছে তার। গ্রাহকরা ঘরে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ সম্পন্ন করে সংযোগ পাওয়ার আবেদন করেছেন। টাকাও জমা দিয়েছেন। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। ফলে দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূনী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘর হস্তান্তরের কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় তাঁদের সংযোগ দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চরঘূনী আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করে। এ প্রকল্পে ২৬টি ব্যারাকে আশ্রয়হীন মানুষের জন্য ১৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে ঘর, পুকুর, সবজি বাগান, টয়লেট, টিউবওয়েলসহ সব সুযোগ-সুবিধা। শুধু নেই বিদ্যুৎ।
২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চরঘূনী আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর আগেই প্রকল্পের ঘরগুলোয় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয় বিদ্যুৎ লাইন।
বিদ্যুতের জন্য আবেদন করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ব্যাপারী (৪৫) জানান, দুই বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত পাননি। জাফর জোমাদ্দার (৪০) বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন। জহিরুল ফরাজী (৪২) বলেন, আশপাশের সব গ্রামে বিদ্যুতের আলো জ্বললেও তাঁরা অন্ধকারে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে দশমিনা পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত জোনাল ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, চরঘূনী আশ্রয়ণের কতজন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন, তা জানা নেই। তবে তিনি বিদ্যুৎ পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, আবেদনের সঙ্গে বরাদ্দের কাগজপত্র জমা দেননি তাঁরা। এ জন্য সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব চরঘূনী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন