প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারকরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচারপ্রত্যাশীরা সব সেবা যেন সহজে পান, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে জনগণের স্বার্থে। প্রত্যেক আদালত চত্বরে বিচারপ্রত্যাশীদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় চিফ জুডিশিয়াল ভবন নির্মাণ করা হবে খুব দ্রুত।

শনিবার চুয়াডাঙ্গা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আদালত চত্বরে আমগাছের চারা রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর জেলা জজ আদালতের বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। আইনজীবী ভবনের সামনে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি জানান, বিচারপ্রত্যাশীদের জন্য বিশ্রামাগার গড়তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করার জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিচারক ও লোকবল সংকট কেটে গেলে মামলাজট দ্রুত কমবে। বর্তমানে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা অনেক বেশি। দ্রুত চুয়াডাঙ্গায় প্রয়োজনীয় লোকবল দেওয়া হবে । মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে বিচারকদের অনেক কাজ করতে হয়। বিচারকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে কোর্টে বসার জন্য।

ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন, বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, আইনজীবীসহ সমিতির সদস্যরা।