সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে মঞ্চে না ডাকায় তার নেতৃত্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ও প্যান্ডেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত রানা মন্ডল তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে অভিযুক্ত রানা মন্ডল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

স্থানীয়রা জানান, আজ ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিন ধার্য ছিল। সকালে বিদ্যালয় মাঠে স্থাপিত মঞ্চে যথারীতি আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুপুরের দিকে তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক রানা মন্ডল ১০-১২ জন সমর্থক নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন। মাইকে নাম ঘোষণা দিয়ে তাকে মঞ্চে না ডাকায় তিনি আয়োজকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন।

এ সময় আয়োজকরা রানাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে তার কর্মী-সমর্থকরা প্যান্ডেলে থাকা চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করতে থাকে। এভাবে প্রায় ১৫ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে অন্তত ৫৫টি চেয়ার ও মঞ্চের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। এরপর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থলে যা ঘটেছে তা ন্যাক্কারজনক।

অভিযুক্ত রানা মন্ডল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এলাকার কতিপয় জুনিয়র ছেলেরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জেনেছি। 

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইকবাল হাসান রুবেল বলেন, বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। রানা মন্ডল এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।