- বাংলাদেশ
- রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সহায়তা কমায় জরুরি বরাদ্দ জাতিসংঘের
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সহায়তা কমায় জরুরি বরাদ্দ জাতিসংঘের

জাতিসংঘের ছয়টি সংস্থা কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ অর্থ নিয়ে সহায়তা কার্যক্রমও শুরু করেছে। ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য এ অর্থ পেয়েছে জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা-আইওএম, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপিএ, জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি।
সিইআরএফ এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দাতারা আগাম একটি যৌথ তহবিল গড়ে তোলেন। কোথাও সংকট তৈরি হলে প্রাথমিক ও জীবনরক্ষাকারী সহায়তা দিতে ওই তহবিল থেকে মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো শরণার্থীদের জন্য তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার, খাদ্য সহায়তা, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা এবং সুরক্ষা দিয়ে আসছে। এই অর্থে কক্সবাজার এবং ভাসানচর দ্বীপে ৯ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এবং উখিয়া ও টেকনাফে বসবাসকারী ১৭ হাজার ৮০০ বাংলাদেশিকে জীবন রক্ষাকারী সেবা দেওয়া হবে।
তহবিল বরাদ্দের বিষয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, শরণার্থী ও এ দেশীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অপর্যাপ্ত তহবিলের অনুকূলে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ অর্থের মাধ্যমে শরণার্থীদের সুরক্ষা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা এবং তাদের অধিকার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাবে।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপি ফুড ভাউচারের মূল্য প্রতি মাসে জনপ্রতি ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। তহবিল স্বল্পতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ মার্চ থেকে এটি কার্যকর করা হয়েছে। এটি এমন এক সময় করা হলো যখন পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মৌলিক খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে ডব্লিউএফপির ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের শিশু ও নারীরা ইতোমধ্যে উচ্চহারে অপুষ্টির শিকার।
মন্তব্য করুন