দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, ব্যবস্থাপক হবে। স্মার্ট সিটিজেন হতে হলে স্মার্ট এনার্জি ইউজার হতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। এই কক্ষের মধ্যেও অনেক বেশি ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করছি বলে আমার মনে হচ্ছে। গরমের মধ্যে কক্ষে যদি ঠাণ্ডা লাগে তাহলে নিশ্চয় কোনো গলদ আছে। আমাদের শিক্ষকরা ভেবে দেখতে পারেন—এতোগুলো এয়ারকন্ডিশন প্রয়োজন আছে কিনা? সানলাইট ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। এনার্জির ব্যবহার কীভাবে কমাতে পারি সেগুলো বিবেচনা করে দেখতে হবে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বাংলাদেশ সাসটেনেবল এনার্জি উইক-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।  

উপমন্ত্রী বলেন, গ্রামেগঞ্জে সর্বত্র বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের একটি বিষয় আসছে। শুনতে হয়তো আপত্তিজনক শোনাবে, কোনো পরিকল্পনা ছাড়া মসজিদের মধ্যেও যত্রতত্র এয়ার-কন্ডিশন লাগিয়ে নিচ্ছি। এটা তো স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। মসজিদের মধ্যে একসঙ্গে অনেক মানুষ নামাজ পড়ে, সেখানে এয়ার ফ্লো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে, সেটা যদি বদ্ধ করে ফেলে, তাহলে নানান ধরনের রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া চিন্তা করছি না বিলটা কে দেবে? অনেকের বিল আটকে আছে, আমাদের কাছে এসেছে, বিল মওকুফ করার জন্য। এইভাবে করে আমরা আনসাটেনেবল এনার্জি ইউজার হয়ে যাচ্ছি। তোমরা (শিক্ষার্থীরা) আগামীতে মানুষকে সচেতন করবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কার্যকরী সদস্য আদেলুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন, বিইএসআরএ প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আকতারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।