- বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্লভ জিনিস চাকরি: মোস্তাফা জব্বার
বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্লভ জিনিস চাকরি: মোস্তাফা জব্বার

ছবি: সমকাল
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘৭ম ওমেনস ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াড ২০২৩’ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ রহমান গণিত ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ওমেনস ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াডের আয়োজনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডে বিজয়ী দশজন ছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্লভ জিনিস হলো চাকরি, যা-ই লেখাপড়া করো- একটা পদে নিয়োগ হবে, এক পদের বিপরীতে পাঁচ হাজার আবেদন পড়ে। সে জায়গায় তুমি চট করে চাকরি পাবা এটি প্রত্যাশিত নয়, তোমাদের ডিজিটাল যুগে নিয়ে আসছি। তোমার ডিজিটাল দক্ষতা দিয়ে তুমি নিজেই কর্মসংস্থান করতে পারো।’
তিনি বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর আগে কম্পিউটারে বাংলা চালু করি। আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, জিরো আর ওয়ান কাকে বলে বুঝতাম না, কম্পিউটার বোঝার কোনো প্রশ্ন ছিল না। শুধু এটা বুঝতাম, আমাকে কম্পিউটার দিয়ে বাংলা লিখতে হবে এবং বাংলা লেখার যে প্রযুক্তি সেটা যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। এবারের বইমেলায় লাখখানেক বই এসেছে; যখন বইয়ের পাতা উল্টাই বইয়ের অক্ষর আমার নিজের হাতে তৈরি করা দেখে গর্বে বুকটা ভরে যায়।’
উপস্থিত মেয়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করিনি আমার দ্বারা সম্ভব না। আমি মনে করেছি- আমার দ্বারা কম্পিউটারের বিষয় আয়ত্ত্ব করা সম্ভব এবং প্রয়োগ করা সম্ভব। আমার মতো প্রয়োগ করার শেখার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়তে হবে না, তোমাদের ইচ্ছাটা থাকতে হবে।’
দেশের ৯৮ ভাগ ফোরজির আওতায় এসেছে জানিয়ে জব্বার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এমন একটি জায়গায় গেছে, যে জায়গাটা কারও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চল ফোরজির আওতায়। গত পাঁচ বছরে দশ কোটি মোবাইল ফোন নিজের দেশে বানিয়েছে। একটাই উদ্দেশ্য, প্রতিটি মানুষের হাতে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পৌঁছাতে চাই।’
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘২০৩০ সালে মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে ও নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’ এ সময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে নারীদের সুরক্ষা দিতে কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য উপাচার্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নারী ও মানবাধিকারকর্মী খুশি কবীর। সভাপ্রধান ছিলেন বাংলাদেশ ওমেনস ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।
বিজয়ীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিক সাবিহা তাসনিম, জয়ন্তী ঘোষ, তানহা রহমান, মোসাম্মাদ খাদিজা আক্তার আশা, নাবিলা আঞ্জুম, ফারাবি ইকবাল খান, মরিয়ম ইসলাম; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শাবনি সিকদার রামা, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রী মাইমুনা হোসাইন মৌমিতা, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারমিন সুলতানা।
মন্তব্য করুন