ঢাকার ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্মাণাধীন মার্কেটসহ অন্যান্য স্থাপনার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেন। এর ফলে ধূপখোলা মাঠে ডিএসসিসি আর কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখতে পারবে না।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। আইনজীবী এসএম রেজাউল করিম, আইনজীবী শামীমা নাসরিন ও আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না তাকে সহযোগিতা করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ ও গ্রিন ভয়েস জনস্বার্থে হাইকোর্টে ওই রিটটি দায়ের করে। আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। 

রুলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ধূপখোলা মাঠে মার্কেট নির্মাণ ও মাঠের শ্রেণি পরিবর্তনের উদ্যোগ সংবিধান ও দেশে প্রচলিত আইন ও ঢাকা শহরের সব খেলার মাঠ রক্ষায় আদালতের দেওয়া রায়ের পরিপন্থী হওয়ায় কেন তা আইন বর্হিভূত, আইনি কর্তৃত্ববিহীন এবং আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সেখানে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করে কেন তা জনগণের জন্য খেলার মাঠ হিসেবে রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, পৃথক রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরিবেশ ও বন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের পর হাসানুল বান্না সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট নির্মাণ কাজের ওপর স্থিতিবস্থা জারির পাশাপাশি ধূপখোলা মাঠ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।