রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিনোদপুর গেটের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৮৭ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসানকে (২৫) অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, রোববার রাকিবুলের অবস্থা অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সে চোখ খুলেছে। কথা বলতে পারছে। তবে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়।

রাকিবুল পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ী চাঁদপুরে। 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাইহান আলী হাসপাতালে রাকিবুলের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন। তিনি রোববার বিকেলে এক ফেসবুক স্টাটাসে রাকিবুলের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে লেখেন, রাকিবুলের সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাফি, এক্স-রে, রক্তের ৪টা টেস্টসহ আরো টেস্ট করা হয়েছে। কিছু রিপোর্ট পেয়েছি। রাত ৮টায় কিছু রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রাকিবুল হাসান এখন আল্লাহর রহমতে শঙ্কামুক্ত। আগামীকাল আইসিইউ থেকে ছাড় দিয়ে সাধারণ বেডে ট্রান্সফার করা হবে। শটগানের স্প্রিন্টার কিছু বের করা হয়েছে। কিন্তু অনেকগুলো স্প্রিন্টার মাংসপেশীতে একটু গভীরে ঢুকে গেছে। যে স্প্রিন্টারগুলো তাকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে! যেমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা সারাজীবনব্যাপী স্প্রিন্টার বহন করেছেন।’

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর রোববার বিকেলে বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। সকালে রাকিবুল চোখ খুলেছে। তার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. জামিল রায়হান বলেন, রাকিবুলকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এখন তার অবস্থা এখন ভালোর দিকে। টিউব খুলে দেয়া হয়েছে। এখন কথা বলতে পারছে। 

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, তার সারা শরীরে আঘাত ছিলো। রাবার বুলেট ও স্প্রিন্টারের আঘাত। শরীরের অনেক স্থানে স্প্রিন্টার ঢুকে গেছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো। তবে আশঙ্কামুক্ত নয়। চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। অবস্থা আরেকটু ভালো হলে সাধারণ বেডে রাখা হবে।