- বাংলাদেশ
- কুয়েটে হাল্ট প্রাইজ প্রোগ্রাম
কুয়েটে হাল্ট প্রাইজ প্রোগ্রাম

চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি রিজিওনাল রাউন্ডে যাবে
বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আহমেদ আস্কার এবং বারটিল হাল্ট ২০১০ সালে হাল্ট প্রাইজ প্রোগ্রাম চালু করেন। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা চলে এক বছর ধরে। খাদ্যনিরাপত্তা, পানি, শক্তি এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সৃষ্টিশীল সমাধানের প্রতিযোগিতা হলো হাল্ট প্রাইজ প্রোগ্রাম। এটি হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বিষয়টি নির্ধারণ করে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ পঞ্চমবারের মতো সামাজিক উদ্যোক্তা অন্বেষণের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হাল্ট প্রাইজের অন ক্যাম্পাস পর্বের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দল গঠন করে নিজেদের বিজনেস আইডিয়া উপস্থাপন করেছেন। এ বছর হাল্টের বিষয়– ‘আরও টেকসই ডিজাইন করার লক্ষ্যে পুনরায় ফ্যাশনকে ডিজাইন করা।’ প্রতি বছর চারটি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় হাল্ট প্রাইজ। অন ক্যাম্পাস রাউন্ড, রিজিওনাল রাউন্ড, এক্সিলিটর রাউন্ড এবং গ্লোবাল ফাইনাল রাউন্ড। ফাইনাল রাউন্ডের বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন ১০ লাখ মার্কিন ডলার, যা অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিজনেস আইডিয়ার ভিডিও সাবমিশন রাউন্ড দিয়ে কুয়েটে অন ক্যাম্পাস পর্ব শেষ হয়। অনলাইন রাউন্ডের ৫০টি দলের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৫টি দল ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে।
ফাইনাল রাউন্ডে দলগুলো ফ্যাশন রিডিজাইনিং নিয়ে নিজেদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। আইডিয়া উপস্থাপন পর্বের শেষে প্রতিযোগীরা প্রশ্নোত্তর পর্বের মুখোমুখি হন, যার মাধ্যমে বিচারকরা তাঁদের আইডিয়াকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করে সেরা আইডিয়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন এবং তাঁদের মতামত জানান।
সিটি ব্যাংকের খুলনা শাখার ক্লাস্টার হেড ও সিনিয়র ব্রাঞ্চ অপারেশন ম্যানেজার হিমাদ্রি শেখর, কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ফাহিম ইসলাম অনিক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান ও রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ জামান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েট বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়রশিপ ক্লাবের মডারেটর প্রফেসর ড. এবিএম আওলাদ হোসেন এবং কুয়েট ছাত্রকল্যাণের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবদুল মতিন।
বিচারকদের মতামত অনুযায়ী ‘হাল্ট প্রাইজ কুয়েট’-এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ‘টিম উড়া’ এবং রানার্সআপ হিসেবে ‘টিম নাইফার’-এর নাম ঘোষণা করেন আয়োজনের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর মাসাবা নাদিয়া। এরপর প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলো পরবর্তী সময়ে রিজিওনাল সামিটে এবং সেখানে বিজয়ী দলটি গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।
হাল্ট প্রাইজের প্রতিযোগিতা বিশ্বের ১ হাজার ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে সরাসরি ক্যাম্পাস ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাস ফাইনালে জয়ী দল রিজিওনাল প্রোগ্রামে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, জাপান, চীনসহ ২৫টি দেশে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। গ্লোবাল ফাইনাল রাউন্ডে যে দলের আইডিয়া সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে, তাদের ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলকে একটি বিজনেস প্ল্যান তৈরি করতে হয়, যেটি পরিবেশের জন্য উপকারী। অর্থাৎ এমন কাজ, যা থেকে নিজের লাভ হবে এবং পরিবেশ উপকৃত হবে। সব ধাপ পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে ওই দলকে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক ১০ লাখ ডলার দেয় ব্যবসা শুরু করার জন্য। ক্যাম্পাস থেকে চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি রিজিওনাল রাউন্ডে যাবে।
হাল্ট প্রাইজ কুয়েটের অন ক্যাম্পাস পর্ব সম্পন্ন করায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিল কুয়েট বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়রশিপ ক্লাব।
মন্তব্য করুন