বহুবার দেখা, তারপরও পুরোনো বলে মনে হয় না। মুগ্ধতার রেশ থেকেই যায়। থাইল্যান্ড তেমনই একটি দেশ। যেখানে বহুবার গিয়েছি, কিন্তু এখনও মনে হয় দেশটি আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। প্রিয় এ স্থানটিকে কেমন যেন আমার আপন আপন লাগে। যেন রূপকথার স্বর্গরাজ্য। প্রিয় মাতৃভূমির বাইরে আমি প্রথম যাই এ দেশটিতেই। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আছে সুউচ্চ দালান, অভিজাত ভবন, পুরোনো মন্দির। এ ছাড়া কেনাকাটার জন্য রয়েছে বিলাসবহুল মার্কেট ও খাওয়া-দাওয়ার জন্য রেস্তোরাঁ। সেখানের খাবার খুব মজার, শপিংয়ে গিয়ে আনন্দ পাই।

ব্যাংকক নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এই শহরের ব্যস্ততার কথা। বিভিন্ন কাজে নানা মানুষ ঘুরে চলছেন এই শহরজুড়ে, একটু অবসরও যেন নেই কারও। বিলাসবহুল অনেক খাবারের রেস্তোরাঁ থাকলেও পর্যটকদের মূলত এখানের স্ট্রিট ফুড একটু বেশিই আকর্ষণ করে থাকে। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এই শহর ঘিরে থাকে উৎসবের আমেজ; কেননা এখানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি রয়েছে ক্লাব ও লাইভ মিউজিকের সমাহার।

ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়া আমার যাওয়া হয়নি। সেখানে শিগগিরই ঘুরে আসার ইচ্ছা রয়েছে। লন্ডন যাওয়ারও পরিকল্পনা করছি। সুন্দর স্থানগুলোর আরও একটি হলো নিউইয়র্ক সিটি। এটি জনবহুল একটি শহর হলেও এর পরিবেশ অনেক সুন্দর। এই শহরে লিবার্টিং আইল্যান্ডে স্ট্যাচু অব লিবার্টি অবস্থিত। এ ছাড়াও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। দিনের তুলনায় রাতে এ শহরের সৌন্দর্য বেড়ে যায় অনেক গুণ। শহরে প্রথম পা রাখলে রীতিমতো আশ্চর্য হবেন অনেকেই। কারণ শহরের প্রতিটি স্থানেই ফুটে ওঠে চোখ ধাঁধানো সব আলোর খেলা। সময় সুযোগ পেলেই ছুটে যাই পৃথিবীর চোখ ধাঁধানো রূপ দেখতে। কয়েকদিন আগে ভারতের গোয়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আনন্দময় সময় কাটিয়েছি। প্রথমে কলকাতায় গিয়েছিলাম।

কিছু কেনাকাটা করে সোজা এসেছি গোয়ায়। এ ট্যুর আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, গোয়ায় অনেক বন্ধুর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছে। ওই ট্যুরে কলকাতার অভিনেতা অভিষেক ব্যানার্জিও ছিলেন। দুই-তিন ঘণ্টা ঘোরার পর মনে হয়েছে সবাই যেন আমার ছোটবেলার বন্ধু। কোনো সময় মনেই হয়নি আমি বাইরের একজন মানুষ। সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন। অসম্ভব সুন্দর জায়গায় ঘুরেছি। নিজের মতো করে সময় কাটিয়েছি। নতুন কোনো দেশে পা রাখার আগে চেষ্টা করি সেখানকার সম্পর্কে জানতে। এটা রীতিমতো আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অজানাকে জানতে ভালোই লাগে।

প্রথমেই জানার চেষ্টা করি সেখানকার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো সম্পর্কে। এরপর খাবার, সংস্কৃতি ও অন্যান্য বিষয়। এরপর পরিকল্পনা করি সেখানে গেলে কী করব, কোথায় ঘুরতে যাব? যদিও পরিকল্পনামাফিক সব হয়ে ওঠে না। তারপরও চেষ্টা করি ভ্রমণের আনন্দ নিতে। কোথাও গেলে ননভেজের মধ্যে বিফ ও চিকেন খেতে লাগে। ইতালিয়ান ও থাই ফুড পছন্দের। কলকাতার ফুচকা ও পানিপুরি আমার খুব প্রিয়। বিশ্বের অনেক দেশেই গিয়েছি। তবে নিজের দেশের ভ্রমণে অন্যরকম প্রশান্তি পাই। কক্সবাজার ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। এটি আমার সেকেন্ড হোম।