- বাংলাদেশ
- ঘটনার আট মাস পর মামলা: ১ বছর পর মরদেহ উত্তোলন
ঘটনার আট মাস পর মামলা: ১ বছর পর মরদেহ উত্তোলন

আদালতের আদেশের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে - সমকাল
নড়াইলের লোহাগড়ার চর পাচাইল গ্রামে ঘটনার আট মাস পর আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এক বছর পর আজ বৃহস্পতিবার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী আজাদ খান জানান, তাঁর ভাই আহাদ খানের কাছ থেকে বোনের ছেলে চর পাচাইল গ্রামের মিরাজ মুন্সি জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে ছয় লাখ টাকা নেয়। জমি কিনে না দেওয়ায় আহাদ টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ২৩ মার্চ রাতে ভাগনে মিরাজ মুন্সি, ইরান মুন্সী, নাসিম মুন্সি ও মিরাজের স্ত্রী রত্না খানম খাবারের সঙ্গে বিষজাতীয় কিছু খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনার আট মাস পর গত ১ ডিসেম্বর নড়াইলের আদালতে চারজনকে আসামি করে তিনি হত্যা মামলা করেন। আদালত লোহাগড়া থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
লোহাগড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারান পাল জানান, আহাদ খানের হত্যার বিষয়টি দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। হত্যার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রয়োজন উল্লেখ করে আদালতে আবেদন করা হয়।
আদালত ২২ ফেব্রুয়ারি অনুমতি দেন এবং বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিচুর রহমান ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আনিচুর রহমান জানান, নিহতের পরিবার হত্যা মামলা করলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে।
আসামি মিরাজ মুন্সি জানায়, মামা আহাদ খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। তাঁর ভাই আজাদ খান তখন কোনো অভিযোগ না করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছেন। আজাদ তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে আট মাস পর আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন