আসন্ন রমজানে ঢাকাবাসীকে পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসা। শনিবার কারওয়ানবাজার ওয়াসা ভবনে ‘আসন্ন রমজানে পানি সরবরাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভায় সংস্থারটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান এ অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। রমজান মাসে আমাদের অনুরোধ পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন। পানি শুধু পয়সা দিয়ে কিনলেই হবে না, পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে।’

ওয়াসা এমডি বলেন, ‘গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদা বাড়ে। আরও বাড়বে। সেটা নিয়ন্ত্রণের মতো সামর্থ্য ঢাকা ওয়াসার রয়েছে। কিন্তু ঢাকায় রমজান মাসে পানির চাহিদা প্রচুর বাড়ে। শীতকালে পানির চাহিদা থাকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২১০ কোটি লিটার। শুষ্ক মৌসুমে বেড়ে ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি লিটার হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে পানির চাহিদা কিছুটা কমে যায়। বর্তমানে ওয়াসার দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা আছে ২৯৫ কোটি লিটার।’

আসন্ন রমজান মাসে ঢাকা শহরে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ওয়াসা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে উল্লেখ করে তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা ওয়াসার সব পানি শোধানাগার ও পানির পাম্পগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে পাম্পগুলো ‘ডুয়েল সোর্স’ বিদ্যুৎ লাইন, ফিপড জেনারেটর বা ভ্রাম্যমাণ জেনারেটর দিয়ে চালু রাখা হবে। আঞ্চলিক অফিসগুলোতেও পর্যাপ্ত পানির গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তাকসিম এ খান বলেন, রমজান মাসে রাজধানীর জনসমাগমস্থলে ইফতার ও সেহরির সময় পানির ট্রলি স্থাপন করে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। মসজিদগুলোতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য ৪৮টি পানির গাড়ি এবং ১৭টি ট্রাক্টর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩৮০টি ফিপড জেনারেটর এবং ১৯টি মোবাইল জেনারেটর স্টান্ডবাই রাখা হয়েছে। কোথাও পানির সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য ‘ওয়াসালিংক-১৬১৬২’ এবং ১১টি অভিযোগ কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। পানির পাম্পগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ১০টি অ্যাডভাইজরি ও মনিটরিং টিম থাকবে।