- বাংলাদেশ
- অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নীরব অতিমারির মতো
সেমিনারে আলোচকগণ
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নীরব অতিমারির মতো

‘এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট একটি নীরব ঘাতক- বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চিত্র’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ নীরব অতিমারির মতো’’ বলে উল্লেখ করেছেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারের বক্তাগণ।
আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মঞ্জুর এলাহী’ মিলনায়তনে ফার্মেসি বিভাগ ‘এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট একটি নীরব ঘাতক- বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চিত্র’ বিষয়ে এই সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে বলা হয়, সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে রোগজীবাণুর প্রতিরোধী হয়ে ওঠাকে একটি ‘নীরব অতিমারি’ হিসেবে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহার বা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও বেশি উদ্বেগজনক।
সেমিনারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’র সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রয়োজন ছাড়াই ৭০-৮০ ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, যেখানে স্বল্প মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক বা এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই চিকিৎসা যথেষ্ট ছিল।
আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিউমোনিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ১৮ ভাগ শিশু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনে ভুগছিল। ‘কারবাপেনেম’ যা প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি হিসাবে চূড়ান্ত অবলম্বন হিসেবে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্ব দেন সেমিনারের আলোচকগণ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম.এম. শহিদুল হাসান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
মন্তব্য করুন