প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরেই মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার রাজধানীতে মেঘনা ব্যাংকের এমএফএস ‘মেঘনা পে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী দেশের প্রধান দুই মোবাইল আর্থিক সেবা বিকাশ এবং নগদের মধ্যে তুলনা করে এ মন্তব্য করেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ”ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে ‘পরিচয়’-এর পার্টনারশিপের ভিত্তিতে নগদ মাত্র তিন বছরে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে বিলিয়ন ডলার কোম্পানি হতে বিকাশের সময় লেগেছিল ১০ বছর।”

অনুষ্ঠানে নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক, মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাইল আর কে হোসানই উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পলক নগদকে গোটা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া ফিনটেক স্টার্টআপ হিসেবেও উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নগদ মোবাইল আর্থিক সেবার ইন্ড্রাস্টিতে বিশ্বে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মর্যাদা অর্জন করেছে।

তানভীর এ মিশুক বলেন, একটি মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ মেঘনা পে-এর টেকনোলজিক্যাল যেকোনো সহযোগিতায় পাশে থাকবে। 

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি বাজারে মনোপলি ভাঙতে আমরা যদি মেঘনা পে-এর পাশে থেকে কাজ করি, তাহলে বাজার উপকৃত হবে। মানুষও উপকৃত হবে।” তিনি বলেন, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সেবা শুরু করে। শুরু থেতেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে বিপ্লব করে ফেলে ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসি চালু করে। এরপর যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে পাঁচটি বাটন (*১৬৭#) ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করে অ্যাকাউন্ট খোলাকে সহজতর করা হয়। গোটা বিশ্বে এই উদ্ভাবন আলোচিত হয়।

আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে নগদের সেবা গ্রহণের খরচ অনেক কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিখরচায়ও সেবা দিতে পারে নগদ।

সরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত নগদের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা এখন সাত কোটি ২৫ লাখ। আর দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

সরকারি ভাতা, উপবৃত্তি ও অন্যান্য সহায়তা বিতরণে নগদ অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে।