টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতাধীন পানি বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উন্নয়ন সহযোগী এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে সাধারণ বিতর্ক পর্বে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সরকার 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০' নামে একটি ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা এবং 'বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩' প্রণয়ন করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে পানি সংক্রান্ত জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোজন অর্থায়নসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্বারোপ করেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।

সাধারণ বিতর্কে অংশগ্রহণ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার বিকেলে 'ওয়াটার ফর সুস্টাইনাবলে ডেভেলপমেন্ট: ভালুইঙ ওয়াটার, ওয়াটার-এনার্জি-ফুড নেক্সাস, এন্ড সুস্টাইনাবলে ইকোনমিক এন্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সংলাপে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এবং 'ওয়াটার সলিউশনস ফর ক্লাইমেট এডাপটেশন: লেসন্স তো স্কেল উপ ইম্পাক্টফুল ডেলিভারি' শিরোনামের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন।

এই সম্মেলনে একটি উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান, সাধারণ বিতর্ক সম্পর্কিত ছয়টি প্লেনারি সভা এবং বহু অংশীজনদের অংশগ্রহণে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ সংলাপ রয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও মন্ত্রীসহ কয়েক শতাধিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করছেন।

জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত এটি প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থা এবং অন্যান্য সকল অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্খিত অগ্রগতি পর্যালোচনাকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।