- বাংলাদেশ
- তেল চিনি ও গম প্রতিযোগী কম
তেল চিনি ও গম প্রতিযোগী কম

ভোগ্যপণ্য আমদানিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় তেল, চিনি ও গমে। ভোগ্যপণ্য ও খাদ্যশস্য বাবদ মোট আমদানি ব্যয়ের ৬০ শতাংশই চলে যায় এ তিনটি পণ্যে। কয়েক কোটি টাকার তহবিল না থাকলে আমদানি করা যায় না এ তিন পণ্য– এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত আছে পাইকারি মোকামে। আমদানি চিত্রও সমর্থন করছে এ ধারণা। চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে এই তিনটি পণ্যে। এসব পণ্যে প্রতিযোগী না বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে এই বড় বিনিয়োগ। ঘুরেফিরে ১০ থেকে ১৫টি প্রতিষ্ঠানই আমদানি করছে সবচেয়ে বেশি। বাজারের নিয়ন্ত্রণও তাই সীমাবদ্ধ থাকছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের কাছে।
জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘তেল, চিনি ও গম আমদানির শীর্ষে আছে বড় গ্রুপগুলো, এ কথা সত্য। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীরাও চাইলে এসব পণ্য আনতে পারেন। পণ্য আমদানি বাবদ বিপুল পরিমাণ ডলার ব্যয় হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতদিন আমদানির চাহিদা থাকবে, ততদিন বিপুল পরিমাণ ডলার খরচ হবে এই তিন পণ্যে।’
চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যে ভোজ্যতেল এসেছে তার সবই এনেছে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং বসুন্ধরা গ্রুপ। এখন পর্যন্ত তারা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করেছে। পাইপলাইনেও আছে তাদের প্রায় আড়াই লাখ টন তেল। চিনিরও শীর্ষ আমদানিকারক হিসেবে আছে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপ। এর বাইরে চিনির শীর্ষ আমদানিকারক হিসেবে আছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড এবং দেশবন্ধু সুগার। একই সময়ে এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার চিনি ও চিনি তৈরির কাঁচামাল। পাইপলাইনে রয়েছে তাদের আরও প্রায় ৬ লাখ টন চিনি।
গম আমদানিতেও শীর্ষে রয়েছে এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার গম আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গমই এনেছে এ চারটি প্রতিষ্ঠান। পাইপলাইনে থাকা বেশিরভাগ গমেরও আমদানিকারক তারা। এর বাইরে সরকারিভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম এনেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন