ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার ভিজিএফের তালিকা থেকে এক জেলার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে চাল না নিয়েই ফিরে গেছেন অন্য জেলেরা। আজ শনিবার ঝালকাঠির সদর কাঁঠালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

জেলেরা জানান, দক্ষিণ আউরা গ্রামের প্রকৃত জেলে মিরন জমাদ্দারের নাম তালিকা থেকে ইচ্ছে করে বাদ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এজন্য তারা চাল নেননি।  

চাল না নিয়ে ফিরে যাওয়া জেলেরা হলেন- শহীদুল ইসলাম সরদার, পরিমল দাস, মজিবুর জমাদ্দার, নকির জমাদ্দার, রাসেল সরদার, ফিরোজ সরদার, কালাম সরদার, শামিম হোসেন, আল-আমিন, আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক, রিপন জমাদ্দার, কালাম জমাদ্দার, তপন কুমার দাস, তিলক দাস, নাঈম হাওলাদার, স্বপন দাস, রিপন দাস, নাঈম জমাদ্দার ও দেলোয়ার হোসেন।

শহীদুল ইসলাম নামে এক জেলে বলেন, মিরন জমাদ্দারের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা চাল নিলে নেন, না নিলে চলে যান।  

মিরন জমাদ্দার বলেন, আমি একজন জেলে। নিয়মিত চাল পেয়ে আসছিলাম। হঠাৎ আমার নাম চেয়ারম্যান বাদ দিয়ে দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হক নাহিদ সিকদার বলেন, মিরন জমাদ্দারের নামে ৩০ কেজির ভিজিডি কার্ড রয়েছে। এছাড়া তিনি ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গরু পেয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একই ব্যক্তি একাধিক সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন না। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জাটকা নিধন থেকে বিরত থাকা জেলেদের মধ্যে রমজান মাসে ভিজিএফের চাল বিতরণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ পর্যন্ত জনপ্রতি মাসে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ চলছে। এ কার্যক্রমে কাঠাঁলিয়া সদর ইউনিয়নের ২৫০ জন জেলে চাল পাবেন।