- বাংলাদেশ
- লুটে বাধা পেয়ে কিশোরকে হত্যা করে পালায় ডাকাতরা
লুটে বাধা পেয়ে কিশোরকে হত্যা করে পালায় ডাকাতরা
১৪ দিন পর গ্রেপ্তার পাঁচজনের স্বীকারোক্তি

ফাইল ছবি
লুটপাটে বাধা দেওয়ায় ডাকাতরা শ্বাসরোধে হত্যা করে
গাজীপুরের কলেজছাত্র মাহিউস সোনান চৌধুরীকে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর
তাদের স্বীকারোক্তির বরাতে আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। ১৩
মার্চ সকালে মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকার উত্তর মোল্লাপাড়ার বাসা থেকে সোনান
চৌধুরীর (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোনান ওই এলাকার প্রয়াত একেএম জালাল চৌধুরীর ছেলে। সে
পড়ত মহানগরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষে। তাকে হত্যায় গ্রেপ্তার
ব্যক্তিরা হলো– আবু তাহের, মফিজ উদ্দিন, আব্দুল মালেক, আজিজুল হাকিম, খোকন মিয়া।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি-মিডিয়া) ইব্রাহীম খান
বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুরুতে আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া
তথ্যের ভিত্তিতে অন্য চারজনকে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়।
তারা সবাই সোনান চৌধুরীকে হত্যার কথা স্বীকার করে শনিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল মাহিউস সোনান
চৌধুরী। জানালার গ্রিল কেটে ১২ মার্চ রাতে তার ঘরে ঢুকে পড়ে ৬-৭ ডাকাত। মুখোশ পরে
আসা ডাকাতরা লুটপাট করার সময় ঘুম ভেঙে যায় সোনানের। সে ডাকাতদের বাধা দেয়। এ সময়
তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলা হয়। পরে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে সোনানকে
শ্বাসরোধে হত্যার পর ২৫ হাজার টাকা ও ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার
লুটে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
মহানগরের সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন হত্যার
পর জানিয়েছিলেন, পুলিশ সোনানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় তাঁর মা মেহজাবিন মামলা করেন। এর
পরই হত্যায় জড়িতদের সন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ।
মন্তব্য করুন