- বাংলাদেশ
- স্বাধীনতা দিবসে ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা
স্বাধীনতা দিবসে ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা
শিক্ষক ও অফিসার সমিতির বয়কট
ছবি- সমকাল।
বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিভিন্ন অভিযোগ এনে অনুষ্ঠান বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি ও অফিসার সমিতি।
এ দিন সকাল ১০টায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল ১১টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করতে জাতির পিতা আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। আজ আনন্দঘন এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাঁদের সম্মান দিতে পেরে আমরা গর্বিত। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহারসামগ্রী।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মোহাম্মদ শাহ আলম নিপু, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেশাল, নৌ কমান্ডার এ এইচ এম জিলানী চৌধুরী, আবুল কাসেম চিশতী, বদিউল আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, এস এম ফজলুল হক ও মোহাম্মদ ইউনুস।
এদিকে স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠান বয়কট করেছে শিক্ষক সমিতি ও অফিসার সমিতি। তবে স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন সংগঠনের নেতারা।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী অভিযোগ করেন, আলোচনা সভার সভাপতি ও স্বাগত বক্তা করা হয়েছে প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারকে। তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার মতো একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বাগত বক্তা রাখার প্রতিবাদে তাঁরা সভা বর্জন করেছেন। উপাচার্য শিরীণ আখতার কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন এ শিক্ষক নেতা।
অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা বা সভাপতিত্ব করে থাকেন রেজিস্ট্রার। তবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কোনোটিতেই রেজিস্ট্রারকে রাখা হয়নি। রেজিস্ট্রার আমাদের অভিভাবক। তাঁকে অসম্মান করা মানে আমাদের অসম্মান করা। এ ছাড়া অন্যবারের মতো এবার অফিসার সমিতিসহ অন্যান্য সমিতির জন্য মঞ্চে আসনও রাখা হয়নি। এসব কারণে তাঁরা যাননি।
মন্তব্য করুন