শৌচাগারে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না গৃহবধূর

প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে হামলা করতে আসার খবরে জীবন বাঁচাতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন সুফিয়া খাতুন (৪৫)। কিন্তু লুকিয়েও জীবন রক্ষা হয়নি তাঁর। প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ দিতে হলো তাঁকে।

আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পুখুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর সৎভাই সাত্তার, সূর্যত আলী, হেকমত, আজিজুলের জমি নিয়ে বিরোধ। এর জেরে রোববার সকালে বিরোধপূর্ণ জায়গায় নির্মিত দোকানঘর ভাঙচুর করেন সাত্তার ও তাঁর লোকজন। খবর পেয়ে সিরাজুল ও তাঁর লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সিরাজুল ও তাঁর লোকজন চলে গেলে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারও সূর্যত ও তাঁর লোকজন সিরাজুলের বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় সিরাজুলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাড়িতে একা ছিলেন। ভয়ে জীবন বাঁচাতে দৌড়ে শৌচাগারে আশ্রয় নেন তিনি। প্রতিপক্ষের লোকজন খুঁজতে খুঁজতে শৌচাগারে গিয়ে সুফিয়ার ওপর হামলা করে। এরপর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সাবিনা (৩৫), শিল্পী আক্তার (৩০), ফিরোজাকে (৪৫) আটক করে।

নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গফরগাঁও-ভালুকা সড়কের পাশে জমি নিয়ে সৎভাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ তাঁর। এর জেরে তাঁর দোকানঘর ও বাড়িতে হামলা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। তাঁর স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে হামলাকারীরা।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।