- বাংলাদেশ
- বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা পরিহাসের শামিল: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা পরিহাসের শামিল: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যে দলের প্রতিষ্ঠাতা অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা খলকারী সামরিক স্বৈরশাসক, যে দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছে মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে- সেই দল দেশের জনগণকে কী গণতন্ত্র দেবে? তাই বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা ও আন্দোলন জাতির সঙ্গে পরিহাসের শামিল।’ আজ সোমবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা খলের মধ্য দিয়ে গঠিত অবৈধ দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। মির্জা ফখরুল এমনই এক দলের মহাসচিব, যে দলের সর্বশেষ সম্মেলন কবে হয়েছে- সেটি বোধ হয় তিনি নিজেই ভুলে গেছেন! যে দলের অভ্যন্ত্ররেই গণতন্ত্র নেই, তারা আবার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে?’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিলেন স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করি, জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? জিয়ার গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছিলেন তিনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করার ভাবাদর্শগত রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে। বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান অন্তরায়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন! নির্বাচনে না গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুঁড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে তারা নাকি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে! জনগণ কি তা বিশ্বাস করে? জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নির্বাচনে কারচুপি এবং দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে বিএনপি। বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী রাজনীতির কারণেই এদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বারবার হোঁচট খেয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই ভোটাধিকার সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা প্রত্যাশা করি, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হবে।’
মন্তব্য করুন