- বাংলাদেশ
- এবার প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভের চেষ্টা
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
এবার প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভের চেষ্টা

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় বিচারকের বদলির পর এবার প্রধান শিক্ষককের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের দায়িত্বহীনতার কারণে অভিভাবকরা অপদস্ত হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক ভয়ভীতি দেখিয়ে বিচারকের পা ধরতে অভিভাবকদের বাধ্য করেছেন। প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সমবেত হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়। এতে শান্ত হন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বিচারককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হেয় করেছেন। বিচারকের পা না ধরলে শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা গতকাল মানববন্ধনের উদ্যোগ নিলে প্রধান শিক্ষক তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এতে তারা শান্ত না হলে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামকে বিষয়টি জানান। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন সেখানে যান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে গিয়ে কথা বলেন এবং তাদের শান্ত করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্থ করার অভিযোগে গত ২১ মার্চ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এই বিদ্যালয়ে রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে পড়াশোনা করত। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে। একদিন ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে রুবাইয়া ইয়াসমিন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্কুলে ডাকতে বলেন। সেখানে গিয়ে রুবাইয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মামলা করে জেলে দেওয়ার হুমকি দেন। এই সময় দুই অভিভাবককে তাঁর পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এলে ২৩ মার্চ ওই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন