কিশোরগঞ্জে ব্রয়লার মুরগির দাম তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা। গত শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হয় ২৪০ টাকা। সোমবার বিক্রি হয় ১৯০ টাকা। এর আগে, গত বুধবার বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা কেজি।

এদিকে সোনালি আর লেয়ার মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। তবে গরু আর খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

জেলা শহরের পুরানথানা বাজারের গিয়ে দেখা গেছে, ভাই ভাই ব্রয়লার হাউজের মালিক ১৯০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রি করছেন। 

তিনি জানান, মুরগির খাবারের দাম এখনও কমেনি। কিন্তু ব্রয়লারের দাম কমছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মুরগি কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। দুই কেজির পরিবর্তে এখন কিনছেন এক কেজি। ব্রয়লার মুরগি লালন করতেও খরচ আছে। আবার গরমে মারাও যায়।সেই কারণেই দাম কমতির দিকে। 

পাশের দোকানের মালিক সুলতান মিয়াও একই কথা জানান।

এদিকে সোনালি এবং লেয়ার মুরগির দামও কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। শুক্রবার বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ টাকা কেজি। সোমবার বিক্রি হয় ৩৩০ টাকা কেজি। 

শহরের জামিয়া রোডের সেলিম জানান, ব্রয়লারের দাম যে হারে কমছে, সোনাশি ও লেয়ারের দাম তো সেই হারে কমছে না। এগুলোর দামও আরও অনেক কম হওয়া উচিত ছিল।

হয়বতনগর এলাকার গৃহিনী সেলিমা পারভীন জানান, ‘আমরা সংসারের হিসাব মেলাতে পারি না। বাচ্চারা মাছ খেতে চায় না। মাংসটাই বেশি পছন্দ করে। তাও আবার মুরগির মাংস। কিন্তু এত বেশি দাম হওয়ায় ঘন ঘন মাংস খাওয়াতে পারি না।