- বাংলাদেশ
- ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক প্রধান শিক্ষকের মুক্তি দাবি
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক প্রধান শিক্ষকের মুক্তি দাবি
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে কারাগারে আটক প্রধান শিক্ষকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন শেষে নিউমার্কেট স্বাধীনতা চত্বরে মানববন্ধন করেন শিক্ষক নেতারা।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ১৫ মার্চ মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোকতল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চলাকালে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে দিনভর একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিদ্যালয়ে ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে রাতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পরদিন ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
তাঁরা আরও বলেন, ওই ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো। ওইদিন এত অল্প সময়ে শত শত ককটেল বিস্ফোরণ, বিদ্যালয় ভাঙচুর, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, প্রধান শিক্ষক ও তাঁর জামাতার দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়াসহ সবই ছিল পরিকল্পিত। তাঁরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
এ সময় সাংবাদিকরা শিক্ষক নেতাদের প্রশ্ন করেন, ঘটনার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি কোনো তদন্ত কমিটি করেনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেনি। ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেনি এবং বক্তব্যও নেয়নি। শিক্ষক সমিতির কাজ কি শুধু শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে দাঁড়ানো? এর জবাবে শিক্ষক নেতারা বলেন, তাঁরা তাঁদের সহকর্মীর জন্য এ আয়োজন করেছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক অপরাধী হলে তাঁরও শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোমেন, আবু সেলিম ভূঁইয়া, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন