- বাংলাদেশ
- রংপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
রংপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রংপুর নগরীর স্নেহা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মানসিক হাসপাতাল থেকে মেহেদী হাসান (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি, মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার সকালে নগরীর পর্যটন পূর্বপাড়া এলাকার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মেহেদী নগরীর তাজহাট ধর্মদাস এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মাদক নিরাময় কেন্দ্রের রান্না ঘরের বেলকুনি থেকে মেহেদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এসে মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তোলেন।
নিহতের খালু জলিলুর রহমান সর্দার বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মেহেদীকে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার মেহেদীর বড় ভাই তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন। সকালে আমরা জানতে পারি মেহেদী নাকি আত্মহত্যা করেছে। মেহেদী আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্নেহা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মানসিক হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী মনোয়ারুল কাদের মাসুম বলেন, তিন থেকে চার বছর আগে মেহেদী আমার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আবারও ভর্তি হন। রাতে সেহরি খেয়েছেন, নামাজ পড়েছেন। সকালে রোগী গণনার সময় মেহেদীকে না দেখে তার রুমে ঢুকলে রান্না ঘরের বেলকুনিতে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা বিষয়টি তাৎক্ষনিক পুলিশকে জানিয়েছি।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠু আহমেদ জানান, মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি লুঙ্গি পড়া অবস্থায় ছিলেন। তার গলায় রশির দাগ ও হাত-পা কালচে হয়ে গিয়েছিল। মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ না দেওয়ায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন