এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দৈনিক প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসকে আটকের ৩৫ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির ও জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানো এবং পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রতিনিধির বিরদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। অবিলম্বে শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ থেকে শুরু করে ওইদিন কী ঘটেছিল তার সুষ্ঠু তদন্ত করে জনগণকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।  

ডিএসইসি সভাপতি মামুন ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইনমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে গ্রেপ্তার না করে অভিযোগ যাচাই করার জন্য নির্ধারিত সেলে পাঠানো হবে। অথচ এই ক্ষেত্রে তার বরখেলাপ করা হলো।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে তার প্রতিকারের জন্য প্রেস কাউন্সিলের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধান রয়েছে। সে পথ অনুসরণ না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এমন ব্যবহার, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে নানা মহলের অভিযোগকেই প্রকারান্তে বৈধতা দিয়েছে।’ 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই আইনে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। শুধু তাই নয়, এটি সরকারের ভাবমূর্তিকেই শুধু ক্ষুণ্ন করছে না, বহির্বিশ্বেও দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধসহ সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার হরণ করে এমন ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে।’