- বাংলাদেশ
- বিমানভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনর্নির্ধারণের দাবি হাবের
বিমানভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনর্নির্ধারণের দাবি হাবের

হজ যাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান ভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। আজ রোববার হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
‘অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া পুনর্নির্ধারণের আবেদন’ শিরোনামে ওই চিঠি লেখা হয়েছে। এতে বলা হয়, যেসব হজযাত্রী ২০২৩ সালে হজ করবেন তাদের অধিকাংশই ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রাক-নিবন্ধিত হয়ে তখনকার করা আর্থিক বাজেটে হজে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন। কিন্তু হজযাত্রীদের অতিরিক্ত বিমান ভাড়াসহ হজের খরচ বাড়ায় এরই মধ্যে হজযাত্রীসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাস্তবতার নিরিখে অনেক বেশি এবং অযৌক্তিক। এ কারণে ঘোষিত হজ প্যাকেজ সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং সমালোচিত হয়েছে। যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ফলে তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথার্থ হয়নি।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মূলত, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জেট ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধি এবং করোনার কারণে বিমানের কিছু আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রত্যাশা ছিল করোনা-পরবর্তী বিমান ভাড়া কমতে পারে।
হাব সভাপতি চিঠিতে আরও লিখেন, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া সব পদক্ষেপই সর্বমহলে বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি দিকনির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা সৌদি সরকারের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, হাব সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। পবিত্র হজ বাংলাদেশের মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতিতে নিবিড়ভাবে জড়িত। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভীষণভাবে স্পর্শকাতরও। শুধু হজযাত্রীরা নয়, দেশের সব মুসলিম নাগরিক হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
মন্তব্য করুন