নওগাঁয় র‍্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই ঘটনায় জড়িত র‍্যাব সদস্যদের দায়িত্ব থেকে আপাতত সরিয়ে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

 কমিটিতে জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখতে বলা হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন করে কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুল জারিসহ এই আদেশ দেন। রুলে তদন্তকালীন সময়ে সুলতানাকে আটকের সঙ্গে র‍্যাবের যেসব সদস্য জড়িত তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলা ছাড়াই সুলতানা জেসমিনকে তুলে নেওয়া ও আটক কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব। এর পর র‍্যাব হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, র‌্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে সুলতানার মৃত্যু হয়েছে।