চলতি আইপিএলে বেশ ক’জন ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখাচ্ছেন। তাদের কেউ গত আইপিএলে দল পাননি, কেউ ধারাভাষ্য করেছেন। পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসে এবার তারা সারপ্রাইজ কামব্যাক দেখিয়েছেন। 

আজিঙ্কা রাহানে: টি-২০ ক্রিকেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিলেন না রাহানে। ভারতের টেস্ট দল থেকেও বাদ পড়েছেন। ওই রাহানে চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির হাতে পড়ে চমক দিয়ে যাচ্ছেন। অন্তত ১০০ রান করেছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে পাওয়ার প্লেতে সর্বাধিক ২২২ স্ট্রাইক রেট তার। 

গত আইপিএলে রাহানে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছিলেন। সাত ম্যাচে ১০৩ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ১৩৩ রান। চেন্নাই সুপার কিংস তাকে চলতি মৌসুমে ৫০ লাখের ভিত্তি মূল্যে দলে ভেড়ায়। শুরুতে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। পরে মঈন আলীর পেটের পীড়ায় একাদশে ঢুকে বাজিমাত করেছেন। 

সন্দীপ শর্মা: ২০১৩ থেকে ২০২২  আসর পর্যন্ত প্রতিটি আসরে ছিলেন সন্দীপ শর্মা। কিন্তু চলতি আইপিএলে দল পাননি তিনি। পরে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ায় সন্দীপ শর্মাকে কেনে রাজস্থান রয়্যালস। তিনিই স্লগে দলটির ভরসা হয়ে উঠেছেন। ধোনি-জাদেজার বিপক্ষে এক ম্যাচে শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। প্রথম দুটি ওয়াইড, দুটি ছক্কা খাওয়ার পরও ওই রান তিনি আটকানোর সাফল্য দেখিয়েছেন। 

পিয়ূস চাওলা: ২০২২ সালের মেগা আইপিএল নিলামেও অবিক্রিত ছিলেন পিয়ূস চাওলা। চলতি মৌসুমে শেষ ক্রিকেটার হিসেবে মুম্বাই তাকে দলে ভেড়ায়। তিনি এখন মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দিল্লির বিপক্ষে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। লেগ স্পিনের সঙ্গে রং বলের কারিশমাও দেখাচ্ছেন। 

অমিত মিশ্রা: পিয়ূস চাওলার মতো ২০২২ সালের আইপিএলে অবিক্রিত ছিলেন অমিত মিশ্রা। চলতি মৌসুমে লখনউ তাকে ভিত্তি মূল্য ৫০ লাখে কিনেছে। ঘরের মাঠ অর্থাৎ একানা স্টেডিয়ামের কালো মাটির উইকেটে মিশ্রা লখনউয়ের বাজির ঘোড়া। ঘরের মাঠে প্রতিটি ম্যাচে তাকে খেলিয়েছে লখনউ। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে তাকেই কাজে লাগাচ্ছে দলটি। 

মোহিত শর্মা: আইপিএলে নিয়মিত পেসার হিসেবে মোহিত শর্মা শেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের নেট বোলার ছিলেন তিনি। ওটাই তার ফেরার পথ করে দিয়েছে। গুজরাট কোচ আশিষ নেহেরা তার সঙ্গে চেন্নাইয়ে কাজ করেছিলেন। নেট বোলিং দেখেই ৫০ লাখে তাকে দলে নেয় দলটি। মুহিত পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ফিরে অফ কাটার এবং ব্যাক অব হ্যান্ড স্লোয়ার দিয়ে বাজিমাত করেছেন।