- বাংলাদেশ
- স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাই- টেক পার্ক
স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাই- টেক পার্ক

ছবি: সংগৃহীত
৩১ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম ও সিনেপ্লেক্স। সেখানে গড়ে উঠছে ১০ তলা সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন টাওয়ার। আছে আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক প্রকল্প এগিয়ে চলছে। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়ে এ বছরের জুনে গড়িয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পার্কের উদ্বোধন করেন। যদিও এর মধ্যেই উদ্যোক্তাদের কয়েকজন পার্কে তাঁদের কাজ শুরু করেছেন।
রাজশাহীর এই বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখানে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। অন্য স্থানের তুলনায় কম ভাড়ায় বরাদ্দ পাওয়া, উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ নানা সুবিধার কারণে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হচ্ছে। বেড়েছে কাজের পরিধি, কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকার তরুণদের।
সরেজমিন দেখা যায়, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন অনেক শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী। বর্তমানে এখানে আটটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে– বিজনেস অটোমেশন, ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স, শপ-আপ, রিয়েল আইটি, এমডি ইনফোটেক, ডাটামাইন্ড লিমিটেড ও চালডাল লিমিটেড। অন্যদিকে সজীব ওয়াজেদ জয় সিলিকন টাওয়ার ব্যবহার উপযোগী করতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সব ধরনের ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। পার্ক পুরোদমে চললে ১৪ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে হাইটেক পার্কে স্থান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করছে এমডি ইনফোটেক নামের আইটি প্রতিষ্ঠান। তারা ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জয় সিলিকন টাওয়ার এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে তারা জায়গা পেয়েছেন। তাদের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে অফিসেই কাজ করেন ৯০ জনের বেশি, যাদের অধিকাংশই রাজশাহীর বাসিন্দা।ফ্লিট বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী খায়রুল ইসলাম বলেন, হাই-টেক পার্ক তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো কিছু দিতে পারবে।
জানা গেছে, সিলিকন টাওয়ারের প্রতি বর্গফুট জায়গার মাসিক ভাড়া ৫ টাকা এবং ৫ টাকা সার্ভিস চার্জ। ইতোমধ্যে ৫৮ হাজার ৪১৬ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখনও বরাদ্দ দেওয়ার উপযোগী জায়গা রয়েছে ৮৩ হাজার ১১০ বর্গফুট। ইতোমধ্যে জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে ১১ প্রতিষ্ঠান।
মন্তব্য করুন