রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের গায়েব হয়ে যাওয়া নথির মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৭টি উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাজউক।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাসান আদালতকে বলেন, হ্যাকাররা সার্ভার থেকে নথি হ্যাক করেছিল।

গত ২ জানুয়ারি রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজউকের ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ঘটনা অনুসন্ধানে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

পরে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েবের ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কমিটিতে দুদকের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত, সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান, পরিচালক (সিস্টেম অ্যানালিস্ট) মো. রাজিব হাসানকে রাখা হয়েছে। মো. রাজিব হাসান কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই কমিটি এরইমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে। কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও গতকাল হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ-১) মো. অলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাজউককে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নথি গায়েবের ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা, তদন্ত কমিটি তা বের করবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় কারা জড়িত কিংবা কোনও কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, সেটি অনুসন্ধান করবে কমিটি। এর পাশাপাশি কেউ ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা, সেটিও দেখা হবে। রাজউকের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গত ৬ ডিসেম্বর গায়েব হয়ে যায়।