- বাংলাদেশ
- সেবা-ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত থেকে দেশের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে
প্রশিক্ষণ সমাপনীতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক
সেবা-ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত থেকে দেশের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে

শ্রেষ্ঠ তিন ফায়ার ফাইটারকে চৌকস পদক পরিয়ে দেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন নবীন - সমকাল
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন নবীন ফায়ার বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস একটি সুশৃঙ্খল ও সেবাধর্মী ইউনিফরমধারী বাহিনী। প্রতিটি কাজে তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। গতি, সেবা ও ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত থেকে দেশের সুরক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।
বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ৬১তম ব্যাচের ৪৪৯ জন নবীন ফায়ার ফাইটারের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে এ অনুষ্ঠান হয়। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, নবীন ফায়ারফাইটারদের অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিসহ ৩৫৭ জন ফায়ারফাইটার সরাসরি মিরপুরে এবং ৯২ জন খুলনা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টায় মহাপরিচালকের গাড়ি প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করলে বিউগলের সুরমূর্চ্ছনা ধ্বনিত হয়। এ সময় অধিপ্তরের পরিচালকরা ও ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ তাকে স্বাগত জানান। পতাকাবাহী কন্টিনজেন্টসহ চারটি কন্টিনজেন্টের সদস্যরা মহাপরিচালককে সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন। মহাপরিচালক প্যারেড পরিদর্শন ও কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। সেইসঙ্গে তিনি কন্টিনজেন্ট সদস্যদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর সার্বিক বিচারে শ্রেষ্ঠ তিন ফায়ার ফাইটারকে চৌকস পদক পরিয়ে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক এ বছর ফায়ার সার্ভিসের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। নবীন ফায়ার ফাইটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার আমাদের দায়িত্ববোধকে আরও বৃদ্ধি করেছে। আমি আশা করব, সাত মাসের দীর্ঘ প্রশিক্ষণে তোমরা যে শিক্ষা পেয়েছ, মাঠপর্যায়ে বাস্তবিক প্রয়োগের মাধ্যমে সেবার মানসিকতা নিয়ে দেশের সুরক্ষায় তোমরা তা কাজে লাগাবে। তিনি সবাইকে শৃংখলার মান ধরে রেখে দেশের সেবায় নিবেদিত থাকার নির্দেশনা দেন।
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে একটি পতাকাবাহী কন্টিনজেন্টসহ মোট চারটি কন্টিনজেন্ট অংশ নেয়। প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এবং প্যারেড অ্যাডজুটেন্টের দায়িত্ব পালন করেন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন