ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে ৩০-৪০ জনের একটি দল রাজধানীর মতিঝিলের ওই অফিসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সমিতির পরিচালকসহ তিনজনকে মারধর করে তারা। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন দেন।

জামিন পাওয়া আসামিরা হলো– সারোয়ার হোসেন, তৈয়ব হোসেন লাভলু, শফি উল্লাহ, শামীম হোসেন, হাফিজুর রহমান, জিয়া উদ্দিন বাবলু, আহসান উল্যাহ, আল আমিন, আব্বাস সিকদার, কাশেম শিকদার, আরিফুল ইসলাম তপু ও সেজান ইমরান পিয়াস।

হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক নুরের জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। ১৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম হোসেন, বাবু, মো. ভাসানী ও আহসান উল্লাহ। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০-২৫ জনকে।

এজাহারে বলা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে আবুল কাশেমের নেতৃত্বে আসামিরা মতিঝিলের ১০ রাজউক অ্যাভিনিউ, সমিতির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালায়। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে। এতে সমিতির পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, হিসাবরক্ষক স্বপন ও সদস্য মাসুক আহত হন। এ ছাড়া অফিসে থাকা ৭৮ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় হামলাকারীরা। একই ভবনের তিনতলায় সিসি ক্যামেরা ক্রয়-বিক্রয়ের অফিসে ঢুকে টাকা-পয়সা ও মালপত্র লুট করে। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও টহল পুলিশ এসে ১২ জনকে আটক করে।
মতিঝিল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা সমিতির কার্যালয় দখলের চেষ্টা করছে। শুক্রবার এজাহারনামীয় ১৭ আসামি অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালায় এবং অফিস দখলের চেষ্টা করে।

হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ শিল্প কল্যাণ ফেডারেশন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি, পত্রপত্রিকা বিতরণকারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র সার্কুলেশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।