- বাংলাদেশ
- নোয়াখালীতে ক্লাসে ঢুকে ছাত্রকে কোপাল বখাটেরা
ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদের জের
নোয়াখালীতে ক্লাসে ঢুকে ছাত্রকে কোপাল বখাটেরা

এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সোনাইমুড়ীতে ক্লাসে ঢুকে নাইমুল হোসাইন রিফাত নামের এক ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সোনাইমুড়ী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাসেল নামের এক বখাটেকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। কিন্তু পিটুনিতে রাসেলের অবস্থা মুমূর্ষু হয়ে পড়ায় তাকে স্বজনের জিম্মায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
রিফাত ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে বখাটে মো. রাসেল ও তার সহযোগীরা। রিফাত ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে, যা নিয়ে রাসেলের সঙ্গে তার মারামারি হয়। সেই ঘটনার জেরে গতকাল দুপুরেও কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে রিফাত ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় রাসেলের গ্রুপের। পরে রিফাতসহ অন্য শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায়। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে রাসেলসহ ৮-১০ বখাটে কলেজে ঢুকে শ্রেণিকক্ষের ভেতর রিফাতকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মো. রাসেলের সহযোগী রাসেলকে ধরে পিটুনি দেয়। কিন্তু ঘটনার মূল হোতা মো. রাসেলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। রিফাতকে গুরুতর আহতাবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে ৩৫টি সেলাই পড়েছে।
রিফাতের বাবা কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। আমি এর বিচার চাই।’
সোনাইমুড়ী কলেজের অধ্যক্ষ কে এম শফিকুর রহমান বলেন, দুপুর ২টার দিকে একদল বহিরাগত যখন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে রিফাতকে কুপিয়ে জখম করে, তখন শিক্ষকরা জোহরের নামাজে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা রাসেল নামের এক বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই ক্যাম্পাসের বাইরে রিফাত ও কলেজছাত্রদের সঙ্গে বখাটেদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল।
সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দিন জানান, পুলিশ আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। রাসেল নামের যে ছেলেটিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল, গণপিটুনিতে তার অবস্থা মুমূর্ষু হওয়ায় তাকে স্বজনের জিম্মায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন