- বাংলাদেশ
- চলন্ত লরি থেকে ছিটকে গেল কনটেইনার, প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
চলন্ত লরি থেকে ছিটকে গেল কনটেইনার, প্রাণ গেল বাবা-ছেলের

দীর্ঘদিন নানা অসুখে ভুগছিলেন ইউনুছ মাঝি (৫৯)। ছেলে রহিম মাঝিকে (৩২) নিয়ে বুধবার দুপুরে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। বাসায় ফেরার সময় চলন্ত লরি থেকে পণ্যবাহী একটি কনটেইনার ছিটকে তাঁদের রিকশার ওপর পড়ে। রিকশাচালক লাফিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও কনটেইনারের নিচে চাপা পড়েন বাবা ও ছেলে। পরে ক্রেন দিয়ে কনটেইনার সরিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা স্টিল মিল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত রিকশাচালককে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বিষ্ণুপুর এলাকায়। নগরের পতেঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন তাঁরা। নিহত ইউনুছ মাঝি খাদ্য বিভাগের অধীনে পরিচালিত পতেঙ্গার সাইলো অপারেটিং জেটিতে কর্মরত ছিলেন।
আহত রিকশাচালক মোরশেদ আলম (২৭) নগরের পূর্ব পতেঙ্গা এলাকার নূর আমিনের ছেলে। তিনি চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
নগরের ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম সমকালকে বলেন, চলন্ত লরি থেকে একটি কনটেইনার ছিটকে রিকশার ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রিকশা আরোহী বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, পণ্যবাহী হওয়ায় কনটেইনারটি অনেক ভারী। পরে দুপুর ১টার দিকে নৌবাহিনীর ক্রেনের সাহায্যে কনটেইনারের নিচে চাপা পড়া রিকশার দুই যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি আমরা।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা জানান, লরিটি পণ্যবোঝাই কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পতেঙ্গা থানার কাটগড় এলাকায় এসএপিএল কনটেইনার ডিপোতে যাচ্ছিল। লরিচালক সাজ্জাদ হোসেন (২৪) বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় কনটেইনারটি পড়ে যায় বলে জানতে পেরেছি আমরা। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বেশিরভাগ সময় লরিতে কনটেইনার ভালোভাবে বাঁধা ছাড়াই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া ওই এলাকার সড়কের বেশিরভাগ অংশে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এটিও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
মন্তব্য করুন