- বাংলাদেশ
- বন্দরে কয়লাবাহী জাহাজ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে শিগগিরই উৎপাদন শুরু
বন্দরে কয়লাবাহী জাহাজ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে শিগগিরই উৎপাদন শুরু

ছবি: ফাইল
কয়লা সংকটে ১৮ দিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। তবে শিগগিরই এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এই কেন্দ্রের জন্য ৫৫ হাজার টন কয়লাবাহী একটি জাহাজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। তিনি জানান, ২-৩ দিনের মধ্যে এসব কয়লা আনলোডিং শুরু হবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব তা ব্যবহার করে উৎপাদন শুরু হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
আনোয়ারুল আজিম জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন। সে হিসাবে ৫৫ হাজার টন কয়লা দিয়ে ১১ দিন উৎপাদন চালু রাখা যাবে। এক সপ্তাহ পর আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এর পর ডলার পাওয় সাপেক্ষে আরও কয়লা আমদানি করা হবে।
এদিকে কয়লার অভাবে বার বার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে আগামী জুনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়া নিয়ে। এ ছাড়া উৎপাদন বন্ধ থাকলেও এই সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী, রামপালের বিদ্যুৎ পিডিবিকে কিনতে হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকলেও পিডিবিকে কেন্দ্রের সক্ষমতা ব্যয় বা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদনে যাওয়ার ২০-২২ দিন পর রামপাল বিদ্যুকেন্দ্রে কয়লার স্বাভাবিক মজুত শেষ হয়ে যায়। ডলার সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারায় রিজার্ভ কয়লা দিয়ে আরও ৫ দিন উৎপাদন চালু রাখা হয়। পরে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে গত ৪ জানুয়ারি সকালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফেরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
পরে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার বন্ধ হয় উৎপাদন। তিনদিন পর ১৮ এপ্রিল সচল হলেও কয়লা সংকটে ২৩ এপ্রিল রাত থেকে ফের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন