- বাংলাদেশ
- হত্যা মামলার ৯ বছর পর কারাগারে ব্রির সেই কৃষি বিজ্ঞানী
হত্যা মামলার ৯ বছর পর কারাগারে ব্রির সেই কৃষি বিজ্ঞানী

গত ২ এপ্রিল সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাদ ইবনে মমতাজ হত্যাকাণ্ডের আসামি মো. মিজানুর রহমানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ৯ বছর আগের এ হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েও তিনি গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। অথচ আদালত ও পুলিশের কাগজপত্রে এতদিন তিনি ছিলেন পলাতক।
গত ২ এপ্রিল সমকালে 'হত্যার পলাতক আসামি ব্রির কৃষি বিজ্ঞানী' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। ধামাচাপা পড়ে যাওয়া বিষয় নতুন করে সামনে আসে। ফাঁস হয়ে যায় গোপন রাখা সেই ঘটনা। সংবাদ প্রকাশের পর মিজানুর পদোন্নতির জন্য সুপারিশ পেলেও তা আটকে যায়। ব্রি কর্তৃপক্ষ তার পুরনো আমলনামা তলব করে। ১৯ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। উপায় না দেখে গত বুধবার ময়মনসিংহ ৪র্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মিজানুর রহমান। এরপর আদালত তাকে জেলহাজাতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ মে ধার্য করা হয়।
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ রাতে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র সাদ ইবনে মমতাজকে আশরাফুল হক হলের ২০৫ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভিযুক্ত ব্রির বিজ্ঞানী মিজানুর রহমান তখন ওই হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে মারা যান সাদ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা ওই মামলায় পুলিশের তদন্তে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মিজানুরকে ৯ নম্বর আসামি করা হয়। এর মধ্যে আটজন গ্রেপ্তার হলেও পরবর্তী সময়ে জামিন পেয়েছেন। বাকি পাঁচজনও জামিনে মুক্ত রয়েছেন। আর কাগজপত্রে মিজানুলকে পলাতক দেখানো হয়।
মিজানুর রহমান হত্যা মামলার আসামি হয়েও মামলার তথ্য গোপন কর ২০১৫ সালে ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। শুধু তাই নয়, ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডের এআইটি থেকে মাস্টার্স কোর্স শেষ করেন। গত ২২ মার্চ ব্রির নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটির সভায় ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি (এফএমপিএইচটি) বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য সুপারিশও পেয়েছিলেন তিনি। যদিও হত্যা মামলার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তা আটকে গেছে।
মন্তব্য করুন