- বাংলাদেশ
- জবিতে ছাত্রীকে হলে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ
জবিতে ছাত্রীকে হলে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ
নেপথ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রী হলে হাফসা বিনতে নূর নামে এক শিক্ষার্থীকে রুমে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার হল প্রভোস্টের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই ছাত্রী। হাফসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে নিজেদের রুমে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাফসার সঙ্গে তাঁর জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেবেকা হলের অন্য রুমে থাকা তাঁর বান্ধবীদের ডেকে আনেন। তাঁরা এসে হাফসাকে রুমে আটকে অশ্রাব্য গালাগাল এবং এক পর্যায়ে মারধর করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা এমন নির্যাতন চলার পর হাফসা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মারধরে অভিযুক্ত ছাত্রীরা হলেন তামান্না ইসলাম তন্বী, ইশিতা, ফাল্গুনী আক্তার, নিনজা শিকদার, ইরা ও নাজমুন নাহার স্বর্ণা। তাঁরা ক্যাম্পাসে নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দেন।
হাফসা বলেন, আমার দুই ব্যাচ জুনিয়র বোটানি বিভাগের ছাত্রী রেবেকা হলের অন্য রুমের সাত-আটজন মেয়েকে রুমে নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে। তারা রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমার ওপর বিভিন্নভাবে নিপীড়ন চালায়। এ সময় নিনজা নামের মেয়েটি পুরো ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
এ বিষয়ে নাজমুন নাহার স্বর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। স্বর্ণা বলেন, রেবেকার সঙ্গে হাফসার ঝগড়ার বিষয়টি জানার পর আমি আবাসিক শিক্ষককে ওদের রুমে নিয়ে যাই। ওদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু হাফসাকে মারধরের বিষয়ে কিছু জানি না।
হলের আবাসিক শিক্ষক মানসুরা বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে আবেগের বশবর্তী হয়ে এ কলহের সূত্রপাত। অবস্থা বেগতিক দেখে আমি সেখানে উপস্থিত হই। আমি যাওয়ার পরও তারা আক্রমণাত্মক ছিল। হাফসাকে তারা রুমের বাইরে যেতে এবং ফোন ধরতে দিচ্ছিল না। মূলত অন্য রুমের মেয়েদের নিয়ে আসার কারণেই এ ঘটনা এতদূর গড়িয়েছে।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, হলে বেশ কিছুদিন ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের নানা ঘটনায় আমি শঙ্কিত। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আলোচনায় বসেছি। দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি কেউ এরকম কাজে জড়ায় তাহলে তার সিট বাতিল হবে।
মন্তব্য করুন