থাইল্যান্ডের নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসনে জয়ী হলেও মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মিলিটারি সমর্থিত শাসকরা গত এক দশক ধরে থাইল্যান্ড শাসন করছেন। গত ২০ বছরে একাধিকবার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী। তাই তাঁরা এত সহজে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে তা আশা করা ঠিক হবে না। এখনও ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে প্রবেশ করতে মুভ ফরোয়ার্ডের সামনে বহু বাধা রয়েছে। খবর এএফপির।

 এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে সিনেট। সামরিক বাহিনী নিযুক্ত সিনেটের বড় ভূমিকা রয়েছে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নির্ধারণে। এ ছাড়া যে ফিউ থাই পার্টির সঙ্গে মিলে সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন পিটা, সেই দলটিও তাঁকে ফেলে অন্যদের নিয়ে সরকার গঠনের পথে হাঁটতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এখন যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তাতে রাতারাতি সরকার গঠন নিয়ে কোনো সমাধান না এলে একটি অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী আবারও অভ্যুত্থানের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যাংককের মাহিদোল ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুনচাদা সিরিভুন্নাবুদ বলেন, যদি মুভ ফরোয়ার্ড সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে তারা দল হিসেবে ভেঙে পড়তে পারে। আবার একই সঙ্গে আমাদের সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থান নিয়েও চিন্তা করতে হবে। থাইল্যান্ড সামনে কঠিন সময়ের মুখোমুখি।

আমার আশা, সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলবে এবং আর কোনো সংঘর্ষ হবে না। প্রতিবাদ, অভ্যুত্থান ও প্রতিবাদের এই চক্রে সবাই এক রকম অসুস্থ। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে হলে পার্লামেন্টের এই উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ মিলিয়ে ৩৭৬ আসন নিশ্চিত করতে হবে। যদি সিনেট পিটাকে সমর্থন না দেয়, তাহলে তাঁকে অবশ্যই নিম্নকক্ষ থেকে পুরো ৩৭৬ আসনের সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। মুভ ফরোয়ার্ড এবং ফিউ থাই মিলে মোট ৩১০ আসন নিশ্চিত করতে পারবে। ফলে সিনেটের সমর্থন ছাড়া তাঁদের পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব নয়।