ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার তাদের জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। খবর বাসসের

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল বুধবার মেঘালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানায়, মুখ্যমন্ত্রী মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।

তিনি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং হিমায়িত খাবার আমদানির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

মুখ্যমন্ত্রী বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার এবং পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপর জোর দেন। তিনি মেঘালয়ের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে, বাংলাদেশের হাইকমিশনার মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো এবং জনগণের মধ্যে আদান প্রদান বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক, রেল ও নদীপথে যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আগ্রহের কথা তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন, মেঘালয়ের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত এলাকায় বন্ধ হওয়া স্থল শুল্ক স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার গুয়াহাটিতে আসামের ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ট্রেড ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সফরের সময়, হাইকমিশনার সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থল শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করবেন এবং মেঘালয়ের ডাউকি এবং তামাবিলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।