ত্রাণ নিয়ে কোন রকম দুর্নীতি বা স্বজন-প্রীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো.আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, আমি ডিসির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ত্রাণে স্বচ্ছতা রাখতে সেন্টমার্টিনে এসিল্যান্ড সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

শুক্রবার বিকেলে শাহপরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'য় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শনকালে কমিশনার ড. মো.আমিনুর রহমান এই কথা বলেন। এসময় তিনি দ্বীপের উত্তর পাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নির্মাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ আছে। আমরা এখানে কোন অনিয়ম করতে দেব না। সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কোন পরিবার বাদ পরবে না। সরকারি বেসরকারি ভাবে ত্রাণ সহায়তা আসতে থাকবে। সেই সহায়তায় যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করার চেষ্টা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি। এছাড়া হ্নীলা, বাহারছড়া, সদর ইউনিয়নেও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত  টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের ৮ হাজারের বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা (শুকনো খাবার) দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০৮ পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে বিতরণের কাজ শেষ পর্যায়ে।

এসময় সেখানে আরও ছিলেন- জেল প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ইউএনও মো. কামরুজ্জামান, ওসি আব্দুল হালিম, স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

এদিকে সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইরফানুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা সেন্টমার্টিনে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১ হাজার ৯ পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। এদের মধ্যে দুই'শ মানুষকে (পুনর্বাসন) ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। বাকিদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।