­­­­­বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও ভয় আছে, কখনও না কখনও ফ্লোর প্রাইস তুলে দেবে বিএসইসি। তখন এসব শেয়ারের দরপতন হবে, তাতে বড় লোকসানের ভয় আছে। এই মনোস্তাত্ত্বিক ভীতি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ারের ক্রেতা না থাকার বড় কারণ।

এর বাইরে ফ্লোর প্রাইস আরোপের সময় কিছু কোম্পানির শেয়ার তার মৌলভিত্তি বিবেচনায় অনেক বেশি দরে ছিল। যেসব কারণে শেয়ারগুলোর দর অযৌক্তিক পর্যায়ে উঠেছিল, এখন সেসব কারণ বহাল নেই। আবার কিছু কোম্পানির মুনাফা আগের তুলনায় কমেছে। ফলে ফ্লোর প্রাইস আরোপের আগে যে বাজার দরে শেয়ারগুলো কেনাবেচা হচ্ছিল, এখন ওই দর যুক্তিযুক্ত নয়। ফলে এসব শেয়ার তাঁরা কিনতে চান না।

আবার অতি ভালো শেয়ারগুলোতে বিদেশিদের বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আছে। কয়েক বছর ধরে এদের একটা অংশ তাঁদের বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকটে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শেয়ারবাজার থেকে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী তাঁদের বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকেও তাঁদের কেউ কেউ বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার চেষ্টায় আছেন। ফলে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে পুরো বিনিয়োগ আরও বহুদিনের জন্য আটকে যাওয়ার ভয় অন্য বিনিয়োগকারীদের এসব শেয়ার থেকে দূরে রাখছে।

তা ছাড়া বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক সংকট, বিশেষত ডলার সংকটের কারণে অনেক কোম্পানির মুনাফা কমেছে। কবে নাগাদ এ অবস্থার উন্নতি হবে, তার কোনো আভাস না মিলছে না। এ কারণেও নতুন বিনিয়োগ থেকে বিরত আছেন অনেকে।