কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১৭ নং হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা।

শুরুতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও ওইদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওজাতুজ্জাহান শুভ্রা।

জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে আসেন রূপালী খাতুন। তিনি একই ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও চাপাইগাছি গ্রামের শহিদুল আলম সেলিমের স্ত্রী। দুপুর সোয়া ১টার দিকে মেয়েকে পছন্দের ছাত্রীর সঙ্গে বসাতে অন্য একজনকে বেঞ্চ থেকে উঠিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওজাতুজ্জাহান শুভ্রার সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন রূপালী।

রওজাতুজ্জাহান শুভ্রা বলেন, রূপালী খাতুন মেয়েকে পছন্দের শিক্ষার্থীর কাছে বসাতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে যে তাঁকে মারধর ও লাঞ্ছনা করবেন তা বুঝে উঠতে পারেননি।

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি রূপালী খাতুন ও তাঁর স্বামী শহিদুল আলম সেলিম। তবে সেলিম বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকও তাঁর আত্মীয়। তাঁর মামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান ঢাকা থেকে এসে সমাধান করবেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাপস কুমার পাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।